২১ আগস্টের হামলা সরকারের সহযোগিতায়ঃপ্রধানমন্ত্রী

ওই দিনের কথা স্মরণ করে আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, “যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণত পুলিশ এগিয়ে আসে সাহায্য করতে, যারা আহত তাদেরকে রক্ষা করতে। এইখানে দেখা গেল উল্টো। বরং আমাদের নেতাকর্মী দূরে যারা ছিল, তারা যখন ছুটে আসছে, তাদেরকে আসতে দেওয়া হয়নি বরং হামলার পর দলের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি ৭১ সালের কায়দায় নির্যাতন শুরু করে। হাসপাতালে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরাও সহায়তা করেনি। এমনকি মরদেহ হস্তান্তরে বাধা দেয়া হয়। সংসদে এ ঘটনায় কথা বলতে দেয়া হয়নি। উল্টো হামলার দায় আওয়ামী লীগের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়। ঘটনার পর আলামত মুছে ফেলারও চেষ্টা করা হয়। সাজানো হয় জজমিয়ার নাটক।
বারবার আওয়ামী লীগের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নানা প্রতিবদ্ধকতার পরও দল এখনো সুসংগঠিত রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী করোনার কারণে কিছু সময়ের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা গেলেও এ থেকে উত্তরণের আশা প্রকাশ করেন । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দুঃসময়ে দেশের মানুষের পাশে অন্য কেউ থাকতো না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলা হলে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হন।
আজকের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।
বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই যে এই হামলা হয়েছিল এবং তাতে তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতাদের যে প্রত্যক্ষ মদদ ছিল তা মামলার তদন্তে উঠে আসে।