চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বাটালি হিল, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ হিল-১ ও ২ এবং ভাটিয়ারী-বায়েজিদ লিংক রোড পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষজনকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আনয়নের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নেতৃত্বে ৬ জন এসিল্যান্ডসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং অব্যাহত আছে।
চট্টগ্রামে বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী ইত্তেফাককে জানান, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় বিভাগসমূহে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং সেই সাথে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। নগরীর চকবাজার, কাপাসগোলা, রাহাত্তারপুল, চাদগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদের এক্সেস রোড, মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং হালিশহরের নিচু এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যায়। লকডাউনের কারণে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বুধবার সারাদিন থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। রিকশাচালকরা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছামত ভাড়া দাবি করেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লোকজনকে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। রাস্তায় পানি জমে থাকায় পথচারীদের বেগ পেতে হয়। বশির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নন্দনকানন এলাকায়। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেটেই তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবু হানিফ জানান দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রিকশা না পেয়ে তিনি পায়ে হেঁটেই অফিসে যাচ্ছেন।