ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন, যা আজ শনিবার জানা যায়।

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

দুদক বলছে, ইভ্যালির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধানকালে তারা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

দুদক মনে করছে, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ কারণে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এর আগে গত ৮ জুলাই ইভ্যালির শীর্ষকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিল দুদক।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, “দুদক যখন জানল, তারা বিদেশ চলে যেতে পারেন, তখন দুদক ব্যবস্থা নেয়। তখন এখতিয়ার সম্পন্ন কোর্ট খোলা ছিল না। বৃহস্পতিবার এখতিয়ার সম্পন্ন কোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ এসেছে।

দুদকের নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশের পর ইভ্যালির এমডি রাসেল ফেইসবুকে লিখেছিলেন, তাদের বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে তিনি ‘পজিটিভলি’ দেখছেন।

তবে সরকার ও দুদকের পদক্ষেপের পর ইভ্যালির কার্যালয়টি বন্ধ রয়েছে কিছু দিন ধরেই। হটলাইনে ফোন করেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যানকে দেয়া এক চিঠিতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের চিঠির সঙ্গে ইকমার্স প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাত পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদনও যুক্ত করে দেয়া হয়।

সেই প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ দেখা যায়, ইভ্যালি ডটকমের মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা (চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা) এবং মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা।

দুদকে পাঠানো চিঠিতে আরো বলা হয়, “ইভ্যালি ডটকমের চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক ও মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা উক্ত কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের আলোকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কোনো আর্থিক অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে দুদককে অনুরোধ করা হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

লাইভ রেডিও
সর্বশেষ সংবাদ