‘ইয়াস’ এর প্রভাবে কয়রায় নোনা পানিতে গ্রাম তলিয়ে গেছে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার সুন্দরবনের পাশের উপজেলা কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা গুচ্ছ গ্রামের ২২০টি পরিবারের ঘর কপোতাক্ষ নদের লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বাস্তুভিটা না থাকায় কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা গুচ্ছ গ্রামে বসতি গড়ে তোলেন সত্তরোর্ধ্ব নূরজাহান বেগম ও রুহুল আমিন ঢালী দম্পতিসহ বিভিন্ন এলাকার ভূমিহীন-গৃহহারা মানুষেরা। একটু ভালোভাবে বাঁচতে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল তারা।
আপন করে নিয়েছিল তাদের ঘরসহ ৫ শতক বসতভিটা। তারা হাঁস, মুরগি, ছাগল পালনসহ ক্ষুদ্র জমিতে বিভিন্ন শাকসবজির বাগান গড়ে তুলেছিল- যা তাদের ক্ষুদ্র সংসারে প্রয়োজন মেটাতো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৭ ফুট বৃদ্ধি পায়। যার কারণে গুচ্ছগ্রামটি দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে যায়।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র ফাতেমা বেগম বলেন, ‘এলাকার অনেক বয়োবৃদ্ধ মানুষও নদীতে এমন পানি বাড়তে দেখে নাই। অনেক কষ্ট করে শাকসবজি ও কিছু ফলের গাছ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু সাগরের লোনা পানি আসায় সব গাছ মারা যাবে।’
কোলে বাচ্চা নিয়ে পানিতে দাঁড়িয়ে বিধবা রিমা খাতুন বলেন, ‘বাড়িঘর না থাকায় ছোট ছোট তিনটি বাচ্চা নিয়ে গুচ্ছ গ্রামে এসেছিলাম। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের পানিতে সব শেষ করে দিল।’ তিনি নিজের হাতে লাগানো বিভিন্ন শাকসবজি ও ফল গাছের জন্য আফসোস করেন।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের ভেড়িবাঁধটি উঁচু ও টেকসই করে দেওয়ার জন্য বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে বললেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।’