ইয়াবা দিয়ে অন্যকে ফাঁসাতে যেয়ে নিজেরাই কারাগারে
কে এম নজরুল ইসলাম : চাঁদপুর প্রতিনিধি
পাওনা টাকা চাওয়ায় পাওনাদার মুদি ব্যবসায়ীর দোকানে ইয়াবা রেখে দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে দুই যুবক। ইয়াবা রাখা শেষে পুলিশে কল করে তাদেরই একজন। পুলিশ এসে দোকানে ইয়াবা পাওয়ার পর ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় আনা হলেও ফরিদগঞ্জ থানার ওসির বিচক্ষণতায় ষড়যন্ত্রকারীরা দ্রুতই ধরা পড়ে।
ষড়যন্ত্রের শিকার মুদি ব্যবসায়ী জুলফু আলী এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে জানা যায়, জুলফু আলী ফরিদগঞ্জের কামালপুর এলাকায় একটি মুদি দোকান পরিচালনা করেন। মুদি দোকানের সাথে সাথে তিনি মাছের চাষও করেন। ঘটনার দিন ১০ মে সোমবার জুলফু আলীর অনুপস্থিতে তার দোকানে সিগারেটের একটা প্যাকেটে ৫ পিস ইয়াবা রেখে দেয় ১নং বিবাদী আবুল কাশেম গাজী। পরে আবুল কাশেম গাজীর সহযোগী আব্দুল মতিন ফরিদগঞ্জ থানায় ফোন দিলে এ.এস.আই জামশেদসহ ৩ জন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ব্যবসায়ী জুলফু আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
পরে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জুলফু আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন এবং আবুল কাশেমকে সন্দেহ করেন বলে তিনি জানান। তাৎক্ষণিক ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন সন্দেহভাজন আবুল কাশেমকে থানায় ডেকে আনেন এবং তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে আবুল কাশেম ষড়যন্ত্রের সকল কথা স্বীকার করে নেয়। এসময় পুলিশ আবুল কাশেমের সহযোগী আব্দুল মমিনকেও আটক করে দুজনকেই জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
অভিযোগপত্রে জুলফু আলী আরও উল্লেখ করেন, আবুল কাশেমের কাছ থেকে দোকানের বাকী টাকা চাওয়াতে সে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, ‘প্রথমে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে জুলফু আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহ হলে আবুল কাশেমকে থানায় ঢেকে আনা হয় এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আবুল কাশেম তার ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে। সেই সাথে তার সহযোগী আব্দুল মমিনের যুক্ত থাকার কথাও বলে’।