সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট-তামাবিল সড়কে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক আনসার সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু করিচর ব্রিজ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মো. জিহাদ (২০) নামে একজন নিহত হন। তিনি ‘এশিয়া ট্রান্সপোর্ট’ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের হেলপার ছিলেন।
নিহত জিহাদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হাজিগঞ্জ (পার্ট) গ্রামের নুরুল হক নূরার ছেলে। এ দুর্ঘটনায় বাসের অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে জাফলংগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট পরিবহনের বাসটি হেমু করিচর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই বাসের হেলপার নিহত হন।
অন্যদিকে, একই দিন দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ সংলগ্ন সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি হাইয়েস গাড়ি ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইয়েস গাড়িটি রাস্তার পাশে চা দোকানের সামনে বসা ৭ নম্বর কূপে কর্মরত আনসার সদস্য মোস্তফা মিয়াকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হন। আহতদের দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, পৃথক দুটি দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল সড়কে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

