রুশাইদ আহমেদ:
২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে স্বাধীনতার পর থেকে উপেক্ষিত দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জনপদ রংপুরের বাসিন্দাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠান সময়ের পরিক্রমায় পার করে ফেলেছে ১৭টি বছর।
শুরু থেকেই নানা সমস্যা, সংকট, সীমাবদ্ধতা আর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়ার পরও গুটি গুটি পায়ে বহু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মিলিয়ে দেড় যুগ পূর্ণ করার পথে এগিয়ে চলেছে ‘উত্তরের বাতিঘর’ বলে পরিচিত হয়ে ওঠা ৭৫ একরের আয়তনবিশিষ্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই সব প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা টানাপোড়েনের নিরিখে শিক্ষাঙ্গণটির বর্তমান ও আগামীর সমস্যা আর সম্ভাবনার বিষয়াদি উন্মোচন করাই এই বিশ্লেষণের মূল লক্ষ্য।
বেরোবির একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমের হালচাল
একাডেমিক পরিসরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো সাম্প্রতিক সময়ে দুয়েকটা বিভাগ বাদে সব বিভাগের সেশনজট থেকে মুক্তি পাওয়া। ছয়টি অনুষদের আওতাধীন ২২টি বিভাগের অধিকাংশতেই এখন সাড়ে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। আর স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা আরও আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত নিচ্ছেন পড়াশোনার পাঠ চুকাতে। এত অল্প সময়ে সেশনজট দূরীকরণের এমন দৃষ্টান্ত খুব কম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরই আছে।
তবে এখানকার বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে তুলনামূলক জটিল জটিল কোর্স থাকায় কিছুটা সময় বেশি লাগছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া, কিছু কিছু বিভাগে প্রয়োজনের চেয়ে কম সংখ্যায় শিক্ষক থাকার কারণেও একাডেমিক ইয়ার শেষ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
কিন্তু বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এখানে গবেষণা কার্যক্রমের পরিস্থিতি শুরু থেকে খুবই নাজুক। এমনকি চলতি বছরের আগ পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের আর্থিক বরাদ্দও পেতেন না গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য। গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার্থে দেওয়া হতো না প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলও।
তবে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হয়ে আসার পর দৃশ্যান্তর ঘটেছে কিছুটা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ৯০ জন শিক্ষার্থী গবেষণা (থিসিস) অনুদান পেয়েছেন। বেরোবিকে “সেন্টার অব এক্সিলেন্স” হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রণীত ‘স্নাতকোত্তর (থিসিস) শিক্ষার্থীদের গবেষণা অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৫’-এর আওতায় এই বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বেরোবির শিক্ষার্থীদের প্রেরণা জোগাতে আরেক ধাপ এগিয়ে রাখবে। তবে এই পরিমাণ বরাদ্দ এখনও যথেষ্ট নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তাই এখনও বিদ্যমান।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে সহজ করার লক্ষ্যে ২০২৪ সাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন (সিডিটি) শাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই সুবিধা প্রাপ্তি দেশের বড় বড় স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে বেরোবির শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে দেওয়ার সোপান হয়ে উঠবে। তবে এই মেইলগুলো স্বল্প মেয়াদের হওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অদূর ভবিষ্যতে কাজ করবে এটিই সকলের প্রত্যাশা।
এসবের বিপরীতে, সবচেয়ে আশার কথা হলো বহুবিধ সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী গবেষণা কার্যক্রমে এরই মধ্যে সাফল্য পেতে শুরু করেছেন। দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত বিভিন্ন জার্নালে তাদের গবেষণা নিবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডাচ একাডেমিক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার কর্তৃক প্রণীত বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায় বেরোবির শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম রিপন, ড. ফেরদৌস রহমান এবং সাবেক শিক্ষার্থী অভিজিৎ ঘোষের স্থান পাওয়া সেই ইতিবাচক অগ্রগতিরই দৃষ্টান্ত।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা
একটা রূঢ় সত্য হলো অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে দৃপ্ত পরিকল্পনাসমূহ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের যে ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন পড়ে, সেটা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এর পেছনে এই অঞ্চলে বাজেট বরাদ্দে বৈষম্য সৃষ্টির প্রবণতা যেমন রয়েছে, তেমনি আছে দুর্নীতিবাজ লুটেরা মহলের ভয়াল থাবা।
স্বজনপ্রীতি, দলীয় লেজুড়বৃত্তি আর অব্যাহত অনিয়মের মাধ্যমে বেরোবিকে “পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে” পরিণত করা বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল জলিল মিয়ার দুর্নীতির দায়ে কারাবরণ এই বিষয়টিরই বড় উদাহরণ। এছাড়া, গবেষণা বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগে বেরোবির চতুর্থ উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহও বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছেন। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এমন পরিণতি নিঃসন্দেহে সেখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের প্রতিবন্ধকতা আর প্রতিকূলতাকে সামনে নিয়ে আসে।
এ কারণে, ১৭ বছর পেরিয়েও কোনো ধরনের মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া নির্মিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও মোটে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। একইসঙ্গে, আছে ক্লাসরুম, শিক্ষক, অডিটোরিয়াম, আর পরিবহন সংকট।
২০০৮ সাল নাগাদ রংপুর টিচার্স ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে মাত্র ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করা বেরোবির শিক্ষার্থী সংখ্যা এখন প্রায় ৮ হাজার। প্রথম দিকে এখানে শুধু রংপুর বা উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই সাধারণত পড়তে এলেও ২০২১ সালে সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে সমগ্র দেশের শিক্ষার্থীরাই এখানে আসছেন।
কিন্তু এর বিপরীতে, বেরোবিতে রয়েছে বিজয় ২৪ হল ও শহীদ মুখতার ইলাহী হল নামের দুটি ছাত্র এবং শহীদ ফেলানী নামের একটি ছাত্রী হল, যাদের সমন্বিত আসন সংখ্যা মাত্র ৮০০। রোকেয়া হল নামের একটি ছাত্রী হল ১০ বছর ধরে এখনও নির্মাণাধীন থাকলেও বিগত প্রশাসনগুলোর অনিয়মের কারণে সেটির তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে বর্তমান প্রশাসন সেটির কাজ পুনরায় শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে। যা ৩ হাজার নারী শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট একটু কমাবে।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র চারটি একাডেমিক ভবন। অথচ বিভাগ সংখ্যা ২২টি। প্রয়োজনের তুলনায় এটি অত্যন্ত অপ্রতুল হলেও এখন সেগুলো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়ায় পূর্বের চেয়ে ক্লাসরুম সংকট কিছুটা হলেও কমবে। পাশাপাশি, অনিয়মের কারণে কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকা কঙ্কালসার ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এক্সিলেন্সের নির্মাণ কাজও শীঘ্রই শুরু হওয়ার কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ভবন সম্প্রসারণ করে অস্থায়ী অডিটোরিয়াম স্থাপনের কথা জানিয়েছেন বর্তমান বেরোবি উপাচার্য ড. শওকাত আলী। যা কিছুটা হলেও আশাব্যঞ্জক।
তবে নিকটতম সময়ে বেরোবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে পরিবহন সংকট হ্রাসে পরিবহন খাতে সাতটি বাসের সংযোজন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) সাতটি বাস বেরোবির পরিবহন বহরে যুক্ত হওয়ায় পরিবহন সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। বাসগুলো রংপুর সদরের পাশাপাশি আটটি উপজেলাতেও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের সুবিধা দিচ্ছে। বিআরটিসি বাসের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সার্বিভাবে এটি ইতিবাচক বলেই পরিগণিত হচ্ছে।
বর্তমানে অক্ষুণ্ন পাঠদানের পরিবেশ
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষক আর ছাত্ররাজনীতির কালো হাত বারবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশের বিঘ্ন ঘটিয়েছে। এতে অবশ্য বিগত দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসনগুলোর দায়ও কম নয়। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময় কর্তৃত্ব বজায় রাখার তাগিদে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের পেশি শক্তিকে হাতিয়ার বানিয়েছে। এমনকি উপাচার্য ড. জলিল তাঁর বিরুদ্ধে সংঘটিত দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সময় নিজের প্রভাব অক্ষুণ্ন রাখতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজ কায়েম করেছেন।
এ ধরনের ঘটনায় নানা সময়ে দীর্ঘদিনের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক, আর্থিক ও মানসিক দিক দিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধে আইন পাস করেছে। পাশাপাশি, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের রাজনীতির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যা পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেরোবিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করছেন।
এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজেও অগ্রগতি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিজ দিনে দিনে বাড়ছে। প্রথমে তেমন সংগঠন না থাকলেও বর্তমানে বিতর্ক, সংস্কৃতি, গবেষণা, যোগাযোগ, সাংবাদিকতা, পরিবেশ, এবং স্বেচ্ছাসেবার কয়েক ডজন সংগঠন গড়ে উঠেছে ৭৫ একরে।
এসব সংগঠনে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের এক্সট্রা কারিকুলার বা নন-একাডেমিক দক্ষতা গড়ে তুলছেন। কিছু সংগঠন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের নানা ইভেন্টেও অংশ নিচ্ছে। নিজেরাও আয়োজন করছে নানা জাতীয় ইভেন্টের। পাশাপাশি অর্জন করছে বিভিন্ন পুরস্কার আর সম্মাননা। এর বাইরে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে আইইএলটিএস কোর্স এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সামগ্রিক কথন
সামগ্রিকভাবে, বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বেরোবি থেকে পাস করে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন ভালো ভালো অবস্থানে যাচ্ছেন। এই সাফল্যের অগ্রযাত্রাকে অসীম করতে হলে বেশকিছু সমস্যা আর সম্ভাবনার বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই গঠন, গবেষণা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে অধিক বরাদ্দের নিশ্চয়তা, বিদ্যমান পাঠদানের স্থিতিশীল পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখা, ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে জবাবদিহিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত, আরও জমি অধিগ্রহণ করে আয়তন বৃদ্ধি এবং আবাসন, ক্লাসরুম আর শিক্ষক সংকট দূরীকরণে সত্বর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মতো দিকে নজর দিতে হবে। তাহলেই পরবর্তী ১০ বছরের ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা সহজ হবে।