সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
সম্প্রতি ভারতের গুজরাট রাজ্যে বসবাসকারী মুসলিমদের একটি অংশকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করে সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার চেষ্টা চলছে বলে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরটি ঘিরে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনা এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, যাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক। বহু প্রজন্ম ধরে তারা গুজরাটে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। ফলে এই পরিস্থিতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের শঙ্কা মাথায় রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত প্রায় ১১৫ কিলোমিটার সীমান্ত এখন বিশেষ নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) সূত্র জানায়, সীমান্তে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রমও বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ বা পুশইনের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে মাঠপর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
এছাড়া সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তারা চান যে দুই দেশ কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুর একটি মানবিক এবং আইনসম্মত সমাধান বের করুক।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু সীমান্ত অস্থিরতা বাড়ায় না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তাই সময়মতো প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।