মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভোরে আবারও পুশইনের মতো গুরুতর ঘটনা ঘটিয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মোট ২৫ জন বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশুকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
ভোর ৪টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তারা জাম্বুরাছড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিলে স্থানীয়রা সন্দেহ করে ৯৯৯-এ ফোন করেন। পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে মো. বিল্লাল (৫১), মো. মিলন শেখ (৩৫), মো. আলী মিয়া (৬০), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খোরশেদ আলম (৩১), মো. হযরত (১০), মরিয়ম (১৪), মোছা. মুসলিমা খাতুন (৩০) সহ আরও অনেকে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরে কাজ করতেন। বর্তমানে তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই দিনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত দিয়ে আরও ৬ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ। ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম জাকারিয়া বলেন, “ধলই সীমান্ত দিয়ে ৬ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের স্থানীয় বিওপিতে রাখা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজ কবির জানান, বিজিবি তাদের আটক করেছে, তবে এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
জেলার মানবাধিকার কর্মী ও সচেতন নাগরিকরা এই ধরনের একতরফা পুশইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তির পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করছেন। তারা বিষয়টিকে দ্রুত কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন।