নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে উদ্ধার হওয়া নীলগাইটি গাজীপুরের সাফারি পার্কে রাখা হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রাণীটিকে আলাদা বেষ্টনীতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর তা পার্কটির কোর সাফারির হরিণ বেষ্টনীতে অবমুক্ত করা হবে।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার শেখপাড়ার একটি পেয়ারাবাগান থেকে নীলগাইটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
১৫ জানুয়ারি একটি নীলগাই সাফারি পার্কের সীমানাপ্রাচীর টপকে লোকালয়ে চলে গেছে। সেটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া নীলগাইটি মর্দা। পার্কে আনার পর সেটি ছিল আহত আর দুর্বল। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারের আগেই কোনো কারণে আহত হয়েছিল প্রাণীটি।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ প্রাণীটি রবিবার দুপুরে এ পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো জানান, নীলগাই বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী। গাই হিসেবে পরিচিতি পেলেও এটি আদৌ গরু শ্রেণির নয়, বরং এটি এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় হরিণ বিশেষ প্রাণী। এর বৈজ্ঞানিক নাম বোসেলাফাস ট্র্যাগোকামেলাস।একশ বছর আগে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। ১৯৪০ সালের দিকে পঞ্চগড়ে একবার নীলগাই দেখা গিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে আর কোথাও নীলগাইয়ের দেখা মেলেনি।
তিনি জানান, অনেক আগেই আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল খাতায় বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতি হিসেবে নীলগাই অন্তর্ভুক্ত।
সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা জানায়, সাফারি পার্কে নতুন যুক্ত হওয়া এটিসহ নীলগাইয়ের সংখ্যা ১১টি।