সিলেট
খাসিয়াদের গুলিতে নিহত কুটই মিয়া ওরফে কুটি মিয়া নামে বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নিহত কুটি মিয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পেকপাড়া (মোকামছড়া) গ্রামের মৃত মনির উল্লাহর ছেলে। শনিবার রাত সোয়া ১০টায় বিজিবি-বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কুটি মিয়ার লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. জাহিদুল হক, ২৮-বিজিবির বাগানবাড়ীর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার সাইদুর রহমান, ভারতের পক্ষে ১১০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রিংকু ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর ভাগিরাথ, মেঘালয় রাজ্য পুলিশের ইস্ট খাসি হিলস মাওসিনরাম থানার এসআই এল খারসিনথিউ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে পেকপাড়া গ্রামের কুটি মিয়া, হানিফ, জরিফ, আকবর, খোকন, ইসহাক, সোনা মিয়া ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার লংথ্রাই পুঞ্জি নামের পাহাড়ি সুপারি বাগানে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় বাগান মালিক ভারতীয় খাসিয়াদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। খাসিয়ারা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের তাড়াতে গুলি করে। ছয়জন ফিরে এলেও খাসিয়াদের গুলিতে কুটি নিহত হন।
এদিকে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) শিলং ১১০ ব্যাটলিয়নের অধিনায়কের নিকট নিখোঁজ কুটি মিয়া সহ বাংলাদেশি হতাহতের বিষয়টি জানতে চাইলে প্রথমে বিএসএফ অধিনায়ক জানান, বাংলাদেশিরা খাসিয়াদের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়লে ধাওয়া খেয়ে সবাই দেশে ফিরে যান। এরপর শুক্রবার কুটির স্বজনরা গোপনে লংথ্রাই পুঞ্জি এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ লাশটি শনাক্ত করেন।
বিজিবি সুনামগঞ্জ ২৮-ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,ভারতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফ-বিজিবির নিকট কুটি মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করলে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে শনিবার রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যদের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।