হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কমিটি গঠন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতার অংশগ্রহণ জেলায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রথম সারির নেতারা, এমনকি বক্তৃতাও দেন তারা।
উক্ত নেতারা হলেন—লাখাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রফিক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও করাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল হাই কামাল এবং যুবলীগ নেতা ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শেখ নূর হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির সিলেট বিভাগ উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ অনেকে।
“কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সভা” শিরোনামের ব্যানারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই কামাল বক্তব্য রাখছেন এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে বসে আছেন। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে এনসিপি হবিগঞ্জ জেলা নেতা পলাশ মাহমুদ বলেন,
“৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের যে নেতৃত্ব হামলা চালিয়েছে, সেই পক্ষের লোকজনকে অর্থের বিনিময়ে এনসিপির মঞ্চে তোলা হয়েছে। আমরা এই অপকৌশল মেনে নেইনি, সে কারণে সভা বর্জন করে পৃথক সভার আয়োজন করেছি।”
অন্যদিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক বলেন,
“জুলাই-আগস্টের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, এবং এনসিপির নীতি-আদর্শকে ধারণ করেন, তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। কারা গ্রহণযোগ্য—তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনাকে ঘিরে এনসিপির আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।