শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন-২ এর নির্মাণকাজ শেষ করেও প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রেখে শ্রমিকদের পেমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন কাজের শ্রমিকরা।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের শ্রমিক ওবায়দুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফজাল হোসেন ও ভাইস প্রিন্সিপাল মো. আমানউল্লাহ আল হাদীর তত্ত্বাবধানে ৫ তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রতি স্কয়ারফুট ২০০ টাকা হারে কাজের বিল পরিশোধ করার শর্ত ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে মাঝেমধ্যে কিছু টাকা দেওয়া হলেও সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করা হয়নি।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. আমানউল্লাহ আল হাদী বদলি হয়ে নতুন অধ্যক্ষ আবুল হাশেম দায়িত্ব নেন। নতুন অধ্যক্ষ তাদের বকেয়া টাকা পরিশোধে রাজি না, বরং কাজকে অবৈধ দাবি করে নতুন শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “আমার কাছে ভবনের অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র নেই এবং পূর্ববর্তী বরাদ্দ বা ব্যয়ের হিসাবও জানি না। ফলে বিল পরিশোধ করতে পারছি না। কিন্তু একই ভবনে সরকারি বরাদ্দে কাজ অব্যাহত রয়েছে, এতে আমাদের অবস্থা খুবই দুঃখজনক।”
তিনি আরও জানান, মোট ৩৫ হাজার স্কয়ারফুট কাজের মোট বিল ৭০ লাখ টাকা হলেও তার কাছে এখন পর্যন্ত এসেছে ৪৩ লাখ, বাকি ২৭ লাখ টাকা বকেয়া। ১০ লাখ টাকা ছাড় দিলেও এখনও ১৭ লাখ বকেয়া রয়েছে। তিনি দাবি করেন, শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন না দেয়ায় তারা ভীষণ আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
ওবায়দুল ইসলাম জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নকে বিষয়টি জানালে তারা কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং অভিযোগ করেন, “যতদিন টাকা পরিশোধ না হবে, ততদিন শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকবে।”
তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।