নীলফামারী প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামসুদ্দোহা মুকুলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, ২০১২ সাল থেকে একই কর্মস্থলে থেকে তিনি সরকারি দায়িত্বের অপব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন একাধিক চিকিৎসা ব্যবসা, যার মধ্যে অন্যতম তার নিজস্ব ‘নিউ লাইফ কেয়ার ক্লিনিক’।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকারি হাসপাতালের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি গর্ভবতী নারীদের অপ্রয়োজনে ভয় দেখিয়ে সিজার করতে বাধ্য করেন এবং রোগীদের ক্লিনিকে রেফার করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেন। এমনকি দুপুর ২টার আগে তিনি হাসপাতালেই আসেন না বলে অভিযোগ। তখন হাসপাতালের রোগীদের পরীক্ষার নামে পাঠানো হয় তার নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেন, নার্স মৌসুমি আক্তার, রুনা আক্তার ও হাবিবার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট রোগীদের বিভ্রান্ত করে। আবার, হৃদয় রায় ও মুস্তাফিজুর রহমান নামের দুই সহযোগী মুকুলের পক্ষে রোগী ম্যানেজমেন্টে কাজ করেন।
খানসামার বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফ উদ্দিন সরকার বলেন, “পূর্ব সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে ডা. মুকুল ১৩ বছর ধরে একই স্থানে থেকে অনিয়ম করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা নয়, যেন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি।”
অভিযোগের বিষয়ে ডা. মুকুল বলেন, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমি কীভাবে কাজ করি, তা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।”
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফেরদৌস জানান, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”