জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে গুদামে আটকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবক নাজিম হোসেন (৩০), ক্ষেতলালের সমন্তাহার গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত রুহুল আমিন সবুজ, নূরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ
শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ১১টার দিকে নাজিম তার বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে চৌমুহনী বাজার এলাকায় গেলে সবুজ ও তার সহযোগীরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং তাকে একটি গুদামে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে বসতবাড়ির জলনিষ্কাশন পথ খোলাকে কেন্দ্র করে নাজিমের বাবার সঙ্গে সবুজের বাবার কথা-কাটাকাটি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে নাজিমকে মারধর করে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযুক্তদের তালিকা
ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—
- নুরুল ইসলাম (৫৫)
- তার ছেলে রুহুল আমিন সবুজ (৩৬)
- ধনতলা গ্রামের সাব্বির ইসলাম (১৯)
- মিনিগাড়ী গ্রামের সিয়াম ইসলাম (২৫)
- সবুজের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৮)
পরিবারের অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া
নাজিমের মা বলেন,
“এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হামলা। আমার একমাত্র ছেলেকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত রুহুল আমিন সবুজ বলেন,
“আমার বাবাকে মারধরের কথা শুনে রাগের মাথায় নাজিমকে কয়েকটি থাপ্পড় ও বারি দিয়েছি। পরে আমার স্ত্রী তাকে ঘরে বসিয়ে রাখে।”
পুলিশি পদক্ষেপ
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান,
“লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”