মুহাম্মদ মহসিন আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ঘোড়ার গাড়িতে করে ছেলের বিয়ে হবে এটাই ছিল বহুদিনের শখ। সেই শখ পূরণ করতে শেষ পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়িতে করেই বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
শতবর্ষী পুরনো বাঙালির ঐতিহ্যকে লালন করেই একমাএ আদরের পুত্র রিফাত ইসলাম (২২) কে বিয়ে করিয়ে, ঘোড়ার গাড়িতে করে বধূ কে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। এমন বিয়ে দেখতে উৎসক মানুষ ভিড় জমান বিয়ে বাড়িতে। এমনকি সড়কের ধারেও বিয়ে করতে যাওয়া-আসার সময় দাঁড়িয়ে থাকে উৎসুক জনতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামে ৯ ই জুলাই বুধবার এই ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়। চান্দুরা ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মইদর এর একমাত্র ছেলে রিফাত ইসলাম বর। কনে উপজেলার একই ইউনিয়নের চান্দুরা গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে ফাহমিদা কামরুল (জুই)।
বরের বাবা শহিদুল ইসলাম মইদর বলেন, আগের দিনে সামর্থ্যবান পরিবারের ছেলে-মেয়েদের ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ে হতো। সিনেমা-নাটকেও ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ে করার দৃশ্য দেখা যেত। সেই থেকে ছেলের বিয়েটা ঘোড়ার গাড়িতে করে করানোর ইচ্ছে জাগে।
ছেলে যখন খুব ছোট ছিল, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হলে ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ে করানোর। ছেলে বর সেজে ঘোড়ার গাড়িতে করে সাতগাঁও থেকে চান্দুরা গ্রামে যায় বিয়ে করতে। বিয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ফের ঘোড়ার গাড়িতে করেই বউকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। এতে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। বহুদিন আগের সেই শখ, ছেলেকে বিয়ে করিয়ে পূরণ করলো।
বর রিফাত ইসলাম বলেন, বাবার শখ পূরণ করতেই তিনি ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ে করেছেন। একদিকে বাবার স্বপ্ন পূরণ হলো, অন্যদিকে অতীত ঐতিহ্যকেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হলো। এই সময়ে ব্যতিক্রম আয়োজনে বিয়ে করতে পেরে তিনি খুশি। তার জীবনে এটি একটি মাইলফলক ও স্মৃতি হয়ে থাকবে। কারণ এখন আর ঘোড়ার গাড়িতে করে সচরাচর বিয়ে হয় না।
১১ই জুলাই (শুক্রবার) রিফাত ইসলাম এর বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অসংখ্য আত্নীয় স্বজন ও দলীয় নেতা কর্মীদের পাশাপাশি আরও উপস্থিতিতে ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব (শ্যামল)।