নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর মাইজদীর একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আসরে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় ভরামঞ্চে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ঘটনার একপর্যায়ে বরসহ দুজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, “আটক নয়, উদ্ধার করা হয়েছে।”
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। কনে পক্ষের দাবি, বিয়ের আগেই বর পক্ষ অতিরিক্ত যৌতুক দাবি করলে বিয়ের অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্ত হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন।
ঘটনার পেছনের গল্প
অভিযুক্ত বর ইকবাল হোসেন (৩৬), পেশায় ড্রাগ সুপার, নোয়াখালীতে কর্মরত এবং গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞায়। কনে একজন অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী, যিনি পিতৃহীন এবং তার বিয়ের আয়োজন করেন মামারা।
কনের মামা মো. হিরণ জানান,
“আগেই এনগেজমেন্ট হয়েছিল। শুক্রবার ১১ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু বর হঠাৎ ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং বিয়েতে সাধারণ পোশাকে এসে আত্মগোপন করে। আমরা বরকে একটি রুমে খুঁজে পাই এবং তখনই সে বিয়ে ভাঙার কথা বলে পালিয়ে যেতে চায়।”
বরপক্ষের পাল্টা বক্তব্য
বরের ভাই সোহরাব হোসেন দাবি করেন,
“আমার ভাই যৌতুক দাবি করেনি বা পালিয়ে যায়নি। সে একজন সরকারি কর্মকর্তা—ড্রাগ সুপার। মেয়ে পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।”
পুলিশের বক্তব্য
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন,
“আমরা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বরসহ দুজনকে থানায় নিয়ে আসি। এটি আটক নয়, বরপক্ষকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।”
বর্তমান অবস্থা
বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পর দোষারোপ চলছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।