ক্রাইম রিপোর্টার:
ছাত্রীকে অপহরণ চেষ্ঠার অভিযোগে রুহুল আমিন নামের একজন শিক্ষককে ধরে গণপিটুনী দিয়েছে জনতা। আহত শিক্ষককে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ভক্তিপুর মন্ডলবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত এজহার দিয়েছেন। জানা গেছে, রংপুর সদর থানাধীন ফাইভ স্টার প্রি-ক্যাডেট স্কুলে পড়ালেখা করত ওই ছাত্রী। একই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন রুহুল আমিন। প্রেমের প্রস্তাব দিলে ছাত্রী তা প্রত্যক্ষান করেন। গত ১২ মার্চ ২০২৫ স্কুলে যাওয়ার পথে মিঠাপুকুরের রানীপুকুর ইউপির এরশাদ মোড় এলাকায় শিক্ষক রুহুল আমিন ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করেন। এটি জানতে পেরে ওই ছাত্রীর পিতা তাকে স্কুল পরিবর্তন করে মিঠাপুকুর থানাধীন রাইজিং স্টার পাবলিক স্কুলে ভর্তি করে দেন। এতে আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে অপূরনীয় ক্ষতি করবে বলে ছাত্রীকে শাসান শিক্ষক রুহুল আমিন। ওই ছাত্রীর পিতা মোক্তারুল ইসলাম জানান, সমাজের ভয়ে সম্মানের ভয়ে গত কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাইয়ের ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেই। গত মঙ্গলবার ১৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টার সময় আমার মেয়ে আমার বাড়ীতে আছে ভেবে তাকে অপহরণের উদ্দেশ্যে রুহুল আমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে মেয়েকে খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুজির পর আমার মেয়েকে না পেয়ে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ী মারডাং আরম্ভ করে। পরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা রুহুল আমিনকে ধরে গণপিটুনী দেয় এবং অন্য যারা এসেছিল তারা পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ আমার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে ঘটনা শোনেন এবং আটককৃত আসামী রুহুল আমীনকে হেফাজতে গ্রহণ করে। মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে রুহুল আমিন নামে এক যুবককে উদ্ধার করি। মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।