মো. গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ঘুরে ঘুরে শাকসবজি সংগ্রহ করেন এক সংগ্রামী বিক্রেতা। এরপর শহরে এনে সেগুলো বিক্রি করেই চলে তার জীবনের পুরো খরচ—জীবনযুদ্ধের এ পথে প্রতিদিন ভ্যানগাড়ি চালিয়েই দিন কাটে তার।
কলার মোচা, কলার কাণ্ড বা ক্যানযাল, কচুর শাক, কলার লতি, মান কচু, ওল কচু, কাঁচা কলা, কলমী শাক, শান্তি শাক, বারমেশানো শাকসহ নানারকম গ্রামীণ শাকসবজি থাকে তার ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে। প্রতিদিন রাজশাহীর বিভিন্ন মোড়ে মানুষ ভিড় করে তার ভ্যানে, কারণ তার পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে—মাত্র ১০ টাকা বা ২০ টাকায় মেলে টাটকা সবুজ শাক।
এই বিক্রেতার কাছ থেকে শাকসবজি কিনতে আসা অধিকাংশই স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিক। কারণ, এসব গ্রামীণ শাক ও কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
বিশেষ করে কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার। এতে রয়েছে—
- ভিটামিন বি৬: যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ও প্রোটিন বিপাকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন সি: যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- পটাসিয়াম: যা হৃদরোগ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
- ম্যাগনেসিয়াম: যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সবল রাখে।
এছাড়াও, কাঁচা কলায় রয়েছে শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজমে সহায়তা করে ও শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে অবদান রাখে।
একজন সাধারণ ভ্যানওয়ালা হয়তো শহরের চোখে বড় কেউ নন, কিন্তু পেছনের গল্পটা তার সংগ্রাম, পুষ্টির বার্তা এবং এক টুকরো গ্রামের গন্ধ বয়ে নিয়ে আসে নগরজীবনে।