টিকটকে পরিচয়, সেখান থেকে বন্ধুত্ব, আর তারপর ভালোবাসায় বদলে যায় দুই তরুণীর সম্পর্ক। প্রেমের টানে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থেকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ছুটে আসে এক তরুণী। ভালোবাসার দাবি নিয়ে হাজির হয় প্রেমিকার বাড়িতে।
ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আরোহী নামের এক তরুণী, যিনি ধর্মে হিন্দু ও বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। অপরদিকে রিতু নামের মুসলিম তরুণী থাকেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদিরামপুর তালুকদার বাড়িতে। বর্তমানে আরোহী রিতুর বাড়িতে অবস্থান করছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) স্থানীয়দের চমকে দিয়ে তারা জানায়, পরস্পরকে ভালোবেসে নিজেদের মধ্যে ‘বিয়ে’ সম্পন্ন করেছে। তবে তাদের কাছে বৈধ কোনো বিয়ের নথিপত্র দেখাতে পারেনি।
আরোহী বলেন, “আমরা আবেগে নয়, মন থেকে ভালোবেসেছি।”
তাদের দাবি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিকটকের মাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয়, এরপর সম্পর্ক গভীর হয় এবং শেষমেশ ভালোবাসার টানে একে অপরের কাছে ছুটে আসে।
এদিকে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহ আলম জানান, আরোহী নিখোঁজ উল্লেখ করে তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। সেই ডায়েরির সূত্র ধরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে সমলিঙ্গের বিয়ে স্বীকৃত নয়, ফলে পুরো বিষয়টি এখন আইনগত তদন্তের আওতায় রয়েছে। দুই তরুণীর এই সাহসী সিদ্ধান্ত এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে এবং সামাজিক অঙ্গনেও নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।