ভরতখালী সংবাদদাতাঃ
গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলা উল্যাবাজার বণিক সমিতি সভাপতি মাহমুদ হাসান ডিলুর বিরুদ্ধে মীমাংসার নামে অর্থ দাবির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পক্ষে তার ভাগ্নে সাজাহান কবির বাবু সংবাদ সম্মেলনে করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমার মামা ফারুক মিয়া উল্যাবাজারে দুই বছর চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া দোকান ঘর ছেড়ে দিলে জামানতের ১ লক্ষ ১০ হজার টাকা দোকান মালিক শফিকুল ইসলামের কাছে ফেরত চাইলে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। এমতো অবস্থায় বিষয়টি উল্যাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মাহমুদ হাসান ডিলুর শরণাপন্ন হলে জামানতের টাকা তুলে দেয়ার সুষ্ঠ মীমাংসা আশ্বাস দিয়ে ২০ হাজার টাকার দবি করে। পরে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসার হলেও দোকানের সিলিং,রেক ও সিলিংফ্যান সহ ৩০ হাজার টাকার মতো আসবাবপত্র নিজ আয়ত্তে নিয়ে রাখেন। এসব আসবাবপত্র ফেরত চাইলে তার ভাই ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক শওকত মির্জা রোস্তমের প্রভাব দেখান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তার দোকানের আসবাবপত্রগুলো সঠিকভাবে ফিরে পাওয়া ও মিমাংসার নামে অর্থ ফেরতের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বণিক সমিতি সভাপতি মাহমুদ হাসান ডিলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ফারুক মিয়া দোকানের জামানতের টাকা উঠানোর জন্য আমাকে অবগত করলে আমি তার সুষ্ঠু মীমাংসা করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা উঠিয়ে দেই । আর আমার বিরুদ্ধে যে অর্থ দাবির বা আসবাবপত্র বিক্রয়ের কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মীমাংসা জন্য ১৫ হাজর টাকা দিলে সেটার মধ্য ১০ হাজার টাকার বণিক সমিতি উন্নয়ন ফান্ডে রেজিষ্ট্রোর খাতায় জমা উঠানো আছে ও বাকি ৫ হাজার টাকা ফারুক মিয়া অসুস্থ থাকায় দোকানে আসবাবপত্র তার বাসায় পাঠানো ও ৪ জন শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যায় করা হয়।
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিলিপস্
সাঘাটা ফুলছড়িসংবাদদাতা, গাইবান্ধা