জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র পদে উদ্ভূত শূন্যতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মেস সংঘের (বিএমওর) মহাসচিব ও বিগত দু’টি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।
এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ বলেন, “ডিএসসিসি’র প্রশাসনিক স্থবিরতা নগরবাসীর স্বাভাবিক সেবা প্রাপ্তিকে ব্যাহত করছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপতির উচিত একটি অধ্যাদেশ জারি করে বিগত মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ‘অন্তর্বর্তী মেয়র’, ‘অতিরিক্ত মেয়র’, বা ‘বিশেষ মেয়র’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান।”
তিনি জানান, তিনি অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং বেশিরভাগ প্রার্থীই তার প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছেন।
আয়াতুল্লাহ আরও বলেন, “ডিএসসিসি’র আওতায় রয়েছে বঙ্গভবন, সচিবালয়, সুপ্রিম কোর্ট, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। অথচ মেয়রশূন্যতায় নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ডিএসসিসি কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালনে মানসিক অস্বস্তিতে রয়েছেন।”
রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি:
আয়াতুল্লাহ বলেন, “সংবিধান কোনো অপরিবর্তনীয় দলিল নয়। সময়ের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন বা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি করা অস্বাভাবিক নয়। মেয়র পদে শূন্যতা দূর করতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্য থেকে দায়িত্ব প্রদানই যৌক্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।”
আন্দোলনের ধারাবাহিকতা:
এই দাবির প্রেক্ষিতে ১ জুন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেস সংঘের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সংহতি জানান নতুনধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, শহীদুন্নবী ডাবলু, এবং অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা। সভাপতিত্ব করেন বিএমওর সভাপতি হাবিবুর রহমান মনি।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ৫ আগস্টের পরবর্তীকালে পূর্বতন মেয়রের অনুপস্থিতি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত জরুরি।
অন্যান্য দাবিও তুলে ধরা হয়:
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মেস সংঘের ঐতিহ্যবাহী ১৩ দফা দাবির লিফলেট বিতরণ করা হয়।