পাইকগাছা প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আলোচিত সন্ত্রাসী শফি গাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁদখালী ও রাড়ুলী ইউনিয়নের এলাকাবাসী। সোমবার বিকেলে উপজেলার কাটাখালী বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় জনগণের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের সদস্য মোস্তফা গাজী। তিনি অভিযোগ করেন, কাটাখালী বাজার ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শফি গাজীর নেতৃত্বে একটি চক্র সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, খাল ও দোকান দখল, মাছের ঘের লুটসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
মোস্তফা গাজীর দাবি, শফির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে তিনি প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়—উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সাজ্জাদ আহমেদ মানিক, উপজেলা যুবদলের সদস্য আনারুল ইসলাম এবং উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ইব্রাহিমের নাম।
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর এই সন্ত্রাসী চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ জুন ঈদের দিন রাতে মিজানুর রহমান নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শফি গাজীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার করে, যা পরে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা গাজী আরও অভিযোগ করেন, এই চক্রের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে, গত ১১ জুন কাজী সাজ্জাদ আহমেদ মানিক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, যা জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর অপকৌশল।
তিনি বলেন, “বিগত ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও জেল-জুলুমের মধ্যেও সততার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন এই সন্ত্রাসী চক্র ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ, রেহেনা পারভিন, ইসমাইল হোসেন মালী, সাহেব আলী গাজী ও আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।