মোঃ মামুন মোল্লা, খুলনা:
চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকায় অবস্থিত গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড (রেজি: ১৩৯৬২)-এর সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অফিস লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম ও অর্থ সম্পাদক মো. ফারুক রিপন দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের অর্থ এবং সঞ্চয় প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। ভুক্তভোগীরা জানান, এদের যোগসাজশে সমিতির প্রায় ২০ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বাবদ অতিরিক্ত প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
সমিতির সভাপতি মো. সমীর হোসেন জানান, সমিতি গঠনের শুরুতে নিজের চাকরির সঞ্চয় ও আত্মীয়স্বজনের অর্থ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। পরে সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করলে তারা সুযোগ নিয়ে নিয়মিতভাবে অর্থ আত্মসাৎ শুরু করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ সালের মধ্যে সব হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দুই কর্মকর্তা কার্যকরী কমিটির কাছে যে হিসাব প্রদান করেন, তাতে ২০ লাখ টাকার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। মৌখিকভাবে দাবি করা হলেও তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ রয়েছে, গত ৭ জুন সমিতির অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সভাপতি সমীর হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিযুক্তরা এবং তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন।
অভিযোগকারীদের দাবি, আত্মসাৎকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। তারা বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে।
বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশি উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ আকারে জানানো হয়েছে এবং চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কার্যালয়েও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।