সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা , বিলাইছড়ি প্রতিনিধি:
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধস, ঘরবাড়ি ধস, জলাবদ্ধতা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারী মানুষজন রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ১ জুন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এতে বিলাইছড়ি, কেংড়াছড়ি ও ফারুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, শাকসবজি, চাষের জমি এবং বসতবাড়ি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি যেখানে:
- কুতুবদিয়া ও কেরনছড়ি এলাকায় ধান্য জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
- গোয়াইনছড়ি, উলুছড়ি, তক্তানালা, শামুকছড়ি, নলছড়ি, ভালাছড়িসহ আরও অন্তত ১৫টি এলাকায় শাকসবজি ও ধানক্ষেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
- কিছু ঘরবাড়ি আংশিক ভেঙে পড়েছে, এবং ফারুয়া বাজার প্লাবনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
যাতায়াতে চরম ভোগান্তি:
বিলাইছড়ি-ফারুয়া সড়কটি কাঁচা হওয়ায় ভাঙনে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাঙামাটি ও কাপ্তাই থেকে নৌপথে আসা-যাওয়াও বাধাগ্রস্ত। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন, যাদের জীবিকা নির্ভর করে প্রতিদিনের চলাচলের ওপর।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন:
টানা ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, ফলে স্থানীয় প্রশাসন, হোটেল-মোটেল, বাসা-বাড়ি ও ব্যবসায়ীরা কাজ করতে পারছেন না। জনজীবনে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
আশ্রয় কেন্দ্র খোলা:
বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান জানান, “এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সবাইকে সতর্ক থাকা ও প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানাই।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক নেতৃত্বে একটি তদারকি টিম প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করছেন। জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে:
📞 ০১৮৯৪৯৫০১১৪, ০১৮১২৯৫৬৫৪৬