মোঃ হারুন উর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারী ডোমার উপজেলার সোনারায় দিয়ে বয়ে গিয়েছে হংশরাজ কলমদর নদী। এ নদীর দুই পারে দশ গ্রামের জনমানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা একমাত্র একটি নরে বরে বাঁঁশের সাঁকো। সেটিও সংস্কার অভাবে দশ গ্রামের প্রায় বিশ হাজার মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবে বিকল্প রাস্তা না থাকায় শতশত স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ এই সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। কয়েকবার সাঁকোটি ভেঙ্গে গিয়ে দুর্ঘটনারও স্বীকার হয়েছেন তারা। প্রতিবছর বর্ষায় সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ারও ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের বই খাতা, কাপড় চোপড় ভিজে যায়, পাঠদানে যেতে পারে না। এটি জেলা শহড় ও ডোমার উপজেলা শহড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় সহ হাজারো পথচারী ব্রীজের দাবী জানান।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রদীপ শর্মার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাঁকোটির প্রশ্চিম দিকে ডুগডুগি, বড়গাছা, চওড়া,বসুনিয়া, তরনীবাড়ী গ্রাম ও পূর্বদিকে ধরনীগঞ্জ বাজার, ইউপি ভবন, কালিতলা, বাবুর হাট, আঠিয়াবাড়ী গ্রাম সহ আরো অনেক গ্রাম ও শহরের সংযোগ রয়েছে। আমরা প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাওয়া আসা করি। সাঁকোটি নরেবরে হওয়ায় ভারী মালামাল নেওয়ার কোন উপায় নেই। কোন ভ্যান, রিক্সা মালামাল বাজার শহড়ে নিতে হলে এর বিকল্প রাস্তা প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। একটি ব্রীজের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারকে বলে কোন লাভ হয়নি। শুধু আশ্বাস দেন, কিন্তু ব্রীজের কোন খোঁজ নেই।
ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে একটি স্থায়ী ব্রীজ হলে এই এলাকার জীবন মান পাল্টে যাবে। সাঁকোটির দুই তীরে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,হাট বাজার রয়েছে। ব্রীজের অভাবে আজ প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুভোর্গে যাতায়াত করেন। বর্ষায় ব্রীজ ভেঙ্গে গেলে আমরা কলার ভেলা ও সাঁতার কেটে নদী পারাপার হই। অনেকে দুর্ঘটনায় পরে পঙ্গুও হয়েছেন। বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে এই নদীর ওপড়ে ব্রীজ দিলে আমরা মরণ ফাঁদ থেকে রেহাই পাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, নদীর ওপড়ে বাঁশের সাঁকোটি মরণ ফাঁদ হয়ে রয়েছে। এখানে ব্রীজের জরুরী প্রয়োজন। ব্রীজের জন্য কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার সেভাবে জানা নেই,খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।