সংবাদ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ (বিএমসি), ধানমন্ডির অ্যানাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ফারজানা মাকসুদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। আজ বিকালে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সামনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাকে বরখাস্ত করার কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই। প্রয়োজনে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত যাবো।”
ডাঃ মাকসুদ অভিযোগ করেন, “জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে ছিলাম, ছাত্র-সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়েছি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি। আজ তারই মূল্য আমাকে দিতে হচ্ছে। আমার একমাত্র অপরাধ আমি সত্য কথা বলি।”
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলনের ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “তিনি চেয়ারম্যান হয়েও আওয়ামী দোসরদের সাথে বিভিন্ন সময় গোপন মিটিং করেন। এ বিষয়ে কেউ কথা বললে বরখাস্ত হয়। আমি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি, নচেত জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুখোশ উন্মোচন করবো।”
তিনি জানান, প্রয়োজনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে তাদের দুর্নীতি ও সজনপ্রীতির তথ্য তুলে ধরবেন। “আমার শরীর থেকে এখনও রক্তের দাগ শুকায়নি,” — ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন তিনি।
নিজের গবেষণা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করে তিনি জানান, তিনি MBBS এবং M.Phil (Anatomy) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। এছাড়া, ২০২৩ সালে তিনি ‘Conventional Frontal Air Sinus Imaging in Personal Identification among Adult Bangladeshi’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যা ফরেনসিক শনাক্তকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
শেষে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যাদের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম, তারা আমার পাশে থাকবেন। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই এবং অন্যায়ভাবে বরখাস্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।”
প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা
BMDC রেজিস্ট্রেশন নম্বর: A 45985