এস.এম. পারভেজ, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে চাঁদা না দেওয়ায় গৃহবধূর গাভী আটকে রেখেছেন স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা। গাভীর দুধ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে গাভীর বাছুর। অবশেষে বাছুর কোলে নিয়ে বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন গৃহবধূ নারগিস আক্তার। এই ঘটনায় আদালত চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ভুক্তভোগী নারগিস আক্তার জানান, স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর তিনি একটি গার্মেন্টসে কাজ করে টাকা জমিয়ে সম্প্রতি একটি দুধেল গাভী কিনেন, যার একটি এক মাস বয়সী বাছুরও রয়েছে।
নারগিসের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল খান বুধবার সকালে তার বাড়ি থেকে গাভীটি জোরপূর্বক নিয়ে যান। বেলাল খান দাবি করেন, “৯ বছর আগে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থেকে নারগিসের স্বামী আবু বকরকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম, যা সুদে-আসলে এখন ৩০ হাজার টাকা হয়েছে। সে টাকা না দেওয়ায় আমি গরুটি নিয়ে এসেছি।”
নারগিস জানান, গাভীটি না থাকায় বাছুরটি দুধ না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বাছুর কোলে নিয়ে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে বিচার প্রার্থনা করেন তিনি। সেখানে তাকে বোতলে দুধ খাওয়াতে দেখা যায়।
এদিকে এ ঘটনায় থানায় বা আদালতে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় আপাতত বাছুরকে দুধ খাওয়ানোর জন্য গরুটিকে মায়ের কাছে নেওয়ার শর্তে নারগিস বেলাল খানের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
শুক্তাগড় ইউপি সদস্য নুর আলম মল্লিক বলেন, “নারগিস ও বেলালের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।”