নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিজেকে “শাহ আলম শাহ” নামে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আদায় করছেন টাকা।
ভুয়া পরিচয়পত্র, ওয়াকিটকি, ভিজিটিং কার্ড—সবই নাটকীয় সাজসজ্জা
সূত্র জানায়, শাহ আলম শাহ নিজেকে কখনো বরিশাল বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, আবার কখনো জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। তার কাছে থাকে ভুয়া আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, ওয়াকিটকিসহ নানা নাটকীয় সরঞ্জাম।
তিনি গ্রামে গিয়ে বলেন,
“আমি প্রেসক্লাবের সদস্য। এলাকার দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করবো।”
তারপর স্থানীয় লোকজনকে ভয় দেখিয়ে নগদ বা বিকাশে টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে বাকি টাকা আদায়ের জন্য ফোন করে চাপ প্রয়োগ করেন।
“আমি দুদকের লোক”—ভয়ভীতি তার প্রধান অস্ত্র
শাহ আলম কথায় কথায় বলেন, “দুদক, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।”
সরকারি কর্মকর্তাদের নাম্বার দেখিয়ে হুমকি দেন:
“টাকা না দিলে নিউজ করে ফাঁস করে দেবো।”
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছে না
অভিযোগ রয়েছে, এই চক্র গ্রামের হেফজখানা, ছোট মাদ্রাসা বা চানাচুর ফ্যাক্টরিতেও চাঁদা দাবি করে। ‘ডোনেশন’ বা ‘ভিজিট ফি’ নামে আদায়কৃত টাকা নিজের দলে ভাগ করে নেয়।
একাধিক সাংবাদিক জানান,
“বরিশালের কোনো সংবাদমাধ্যমে শাহ আলম শাহ নামে কেউ কাজ করেন না। তিনি প্রকৃত সাংবাদিক নন।”
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান: এখনই ব্যবস্থা নিন
এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।
- চাঁদাবাজির স্থানগুলোতে স্থানীয় প্রতিবাদ গড়ে তুলুন।
- সাধারণ মানুষকে সচেতন করুন।
- ভুয়া সাংবাদিকদের তালিকা করে প্রশাসনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হোক।