হাবিব আহমেদ, রাজশাহী প্রতিনিধি:
ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে রাজশাহী র্যাব-৫ এর আওতাধীন ৫টি জেলার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পশুরহাটে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, জাল টাকা শনাক্তকরণ ও আইনশৃংখলা উন্নয়নসহ বিষয়গুলো দেখভাল করবে র্যাব। ঈদের আগে ও পরে মাঠে থাকবে র্যাবের বিশেষ টিম। জোরদার করা হবে রাস্তায় টহল।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহীর সিটি হাটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল মাসুদ পারভেজ।

তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন ধরণের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, পশুর হাটে টোল নিয়ে জোর জুলুম না হয় সেটি নজর দারিত্বে রাখা হবে। বড় বড় পশুরহাটগুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, যেখান থেকে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা নিতে পারবে। জটিল পরিস্থিতি তৈরী হলে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ্য ব্যবসায়ীদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কন্ট্রোল রুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষা দিতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণে মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়াও হাটগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়নো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আশা করছি হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাসহ সকলেই কেনাকাটা করতে পারবে।।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলায় মোট ৪৩ লাখ কোরবানীযোগ্য পশু রয়েছে। যদিও এবারের চাহিদা রয়েছে চাহিদা ২৬ লাখ। ফলে প্রায় ১৭ লাখ পশু রাজধানী, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডা. অনন্দ কুমার অধিকারী জানান, বিভাগের আট জেলায় এবার কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য ৩০২টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হাটগুলোর মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী এবং ১৪১টি অস্থায়ী। পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভাগজুড়ে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো হাটে উপস্থিত থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, গর্ভবতী গাভী শনাক্তকরণ ও রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।