নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে “মিথ্যা ও বানোয়াট” অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) গণ অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি দাবি করে, “নুরুল হক নুর তার পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।”
এ দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে গণ অধিকার পরিষদ।
আসল ঘটনা কী?
গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘হিজবুত তাহরীর’-এর নেতা এবং জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অতীতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, এমন তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।
এ বিষয়টি সম্প্রতি আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্টেও উঠে এসেছে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা মহানগর উত্তর গণ অধিকার পরিষদের উদ্যোগে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
চুক্তির অনিয়ম ও ‘কমিশন কালচার’
সংগঠনটি জানায়, ডিএনসিসির একটি দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও গণ অধিকার পরিষদের এক সদস্যকে ‘কমিশন ছাড়া’ কাজ না দেওয়ার অভিযোগ প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অবহিত করা হয়।
প্রশাসকের পরামর্শেই বিষয়টি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে জানান নুরুল হক নুর।
তারা আরও দাবি করে, গাবতলী পশুর হাটসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কমিশন ছাড়া কাজ না দেওয়ার অভিযোগ ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে এসেছে, যা প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ বহন করে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে ঘুষ প্রস্তাবের অভিযোগ
গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয় যে, গতকালকের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঠেকাতে প্রশাসক এজাজ নিজে ও তাঁর আত্মীয়দের মাধ্যমে আর্থিক প্রস্তাবসহ সমঝোতার চেষ্টা করেছেন।
সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের বারবার ফোনও করেন তিনি।
প্রশাসকের অপসারণ দাবি
বিবৃতিতে বলা হয়, “জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এবং নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে এজাজ বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়াচ্ছেন।”
এজন্য গণ অধিকার পরিষদ অবিলম্বে তাকে ডিএনসিসির প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি জানায়।