স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের পশ্চিম আমিরাবাদ গ্রামে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক মাটি ভরাট করে সরকারি খালসহ জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৩জুন) সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানার বরাবর লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন ওই এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলমগীর হোসেন।
তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভাষাণচর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৩৫ নং পশ্চিম আমিরাবাদ মৌজার বিএস ১ নং খাস খতিয়ানের ৮৬৩০ নং দাগের জমি শ্রেণী খাল হিসেবে সুদীর্ঘকাল থেকে প্রবাহিত রয়েছে। উক্ত খালটি দিয়ে ভুবেনশ্বর নদী থেকে মধ্যেরচর হয়ে গনেশবাবুর ডাঙ্গী গ্রামের দিকে পানি প্রবাহিত হয়। এতে করে এলাকায় সহজে পানি প্রবেশ করে ফলে কয়েকশত একর জমিতে কৃষকেরা সহজে পাট জাগ দিতে পারে এবং এই পানির ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া একই মৌজার অর্থাৎ ৩৫ নং পশ্চিম আমিরাবাদ মৌজার বিএস ৭৮ নং খতিয়ানের ৮৬২৯ ও ৮৬৫৩ নং দাগের জমি আমার স্বত্ত্বদখলীয় রেকর্ডীয় জমি। কুদ্দুস হাওলাদার ৮৬৩১ ও ৮৬৩২ নং দাগের জমির আংশিক মালিকানা দাবি করে তার লোকজন নিয়ে অবৈধ ভাবে সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানের খালসহ আমার ব্যক্তি মালিকানা জমি ৭৮ নং খতিয়ানের ৮৬২৯ ও ৮৬৫৩ নং দাগের জমিতে অবৈধ ভাবে ভেকু দিয়ে জোর পূর্বক মাটি কাটলে ও ভরাট করলে তাৎক্ষণিক আমি লিখিত আকারে এসিল্যান্ড ও ইউএনওকে অবগত করলে তারা সরজমিনে এসে তদন্ত করে খাল ভরাট করতে নিষেধ করে। এ নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে পুনরায় খাল ভরাট করলে এসিল্যান্ড সরজমিনে এসে বিষয়টি দেখার পর তহসিলদারকে বাদী হয়ে মামলা করার নির্দেশ দিলে তহসিলদার ওই ব্যক্তির নামে মামলা করে দেনা। মামলা নং-১, জি আর নং- ১৮৪। যাহা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা হওয়ার পরে সদরপুর থালা পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরন করে। পরে সে জামিনে এসে চলতি মাসের গত ১৯ জুন থেকে ২১ জুন এই তিন দিন পুনরায় ১নং খাস খতিয়ানে সরকারি খাল প্রায় ৭০% ভরাট করে দখল করে।
এ বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, ৩৫নং পশ্চিম আমিরাবাদ মৌজার বিএস ৮৬৩০ নং দাগের জমি (সরকারি খাল) এবং আমার স্বত্ত্বদখলীয় ৮৬২৯ ও ৮৬৫৩ নং দাগের জমিতে যাতে অবৈধভাবে কেও প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এসিল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করি তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
তানভীর তুহিন