চাইথোয়াইমং মারমা, রাঙ্গামাটি:
রাঙ্গামাটি জেলায় চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ১৮ মে রবিবার থেকে পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে, রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে চন্দ্রঘোনা ফেরি ঘাটে নদীর গভীরতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলার কারণে গত ১৩ মে থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১৮ মে রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ টানা পাঁচ দিন ধরে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করার পর ভোর ৬টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এই চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট দিয়ে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার মধ্যে চলাচলকারী পর্যটক এবং বিভিন্ন পণ্যবাহী বাস, মিনিবাস, প্রাইভেট কার, ছোট-বড় অটো, সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ শত শত যানবাহন পারাপার করে।
কর্ণফুলী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় সাধারণ জনগণ ও যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে স্থানীয়রা জানান, চন্দ্রঘোনা ফেরি পারাপারে নদীর পথে চলাচল একটি বড় সমস্যা। সূত্র জানায়, বিগত সরকার আমলে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও পত্রিকায় বাজেট বরাদ্দ অনুমোদনের খবর প্রকাশিত হলেও, গত ১৭ বছরেও সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।
এলাকার স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট সরকার প্রধান ও সড়ক ও জনপদ উপদেষ্টার কাছে দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তারা জানান, সেতু না থাকার কারণে জরুরি রোগীবাহী যানবাহন ফেরিঘাটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থেকে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না, ফলে রোগীরা সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, গত ১৩ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ চলায় ফেরি চলাচল এবং নৌপথে সাধারণ জনগণের পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর ১৮ মে ভোর ৬টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে এবং এখন থেকে নিয়মিতভাবে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করতে পারবে।