সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
ভুয়া পরিচয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান সেজে প্রতারণার চেষ্টা করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৮ মে) সকালে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের ১৭৫তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই গণশুনানির আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন, সহযোগিতায় ছিল জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।

চেয়ারম্যান বলেন,“যেভাবে স্বাধীনতার পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছিল,তেমনি ৫ আগস্টের পর কিছু ব্যক্তি নিজেদের ভুয়া সমন্বয়ক বা দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করেছে। আমরা এদের শনাক্ত করছি এবং শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও বলেন,“আমাদের জনবল সীমিত হলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে জনবল বাড়ালে করদাতার ওপর চাপ বাড়বে,এটা আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। একই সঙ্গে স্বীকার করি, আমাদের নিজেদের ভেতরেও কিছু সীমিত দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে প্রথমে সরবরাহকারী পক্ষকে বন্ধ করতে হবে। সরবরাহ বন্ধ হলে চাহিদাও কমে আসবে।”
গণশুনানির বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ এবং সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।
এতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। জনসাধারণ তাদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ সরাসরি তুলে ধরেন দুদক প্রতিনিধিদের সামনে। অনেক অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন।
গণশুনানির উদ্দেশ্য ছিল জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো,সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করা।