নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে রাতোর ইউনিয়নের ভেদালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
অভিযুক্ত একরামুল মুন্সি (৪৮) উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ১০০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। ঘটনার পর মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান।
পরদিন বুধবার রাতে স্থানীয়ভাবে শালিস ডাকা হয়, যার নেতৃত্ব দেন রাতোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন। শালিসে ৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি আপোষ করার সিদ্ধান্ত হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর বাবা ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা দায়ের করতে গেলে তাকে আত্মীয়দের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয় এবং রাতে দ্বিতীয় দফা শালিসে ৪০ হাজার টাকায় আপোষ করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, পরিবারটি দরিদ্র ও সহজ-সরল হওয়ায় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে আপোষে বাধ্য করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, তারা ন্যায়বিচার পায়নি।
অভিযুক্ত একরামুল মুন্সিকে বাড়িতে না পাওয়া গেলেও তার মেয়ে রোজিনা আক্তার বলেন, “ঘটনার সময় আমার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। মেয়েটি নিজের ইচ্ছাতেই ভুট্টাক্ষেতে গিয়েছিল। পরে টাকার কথা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন বলেন, “আমি শুনেছি হাত ধরার ঘটনা। তাই মীমাংসার চেষ্টা করেছি। ধর্ষণের কোনো অভিযোগ জানিনি।”
রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, “ঘটনার বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।”