শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার রামডাঙ্গা (আমতলী) গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মিম আক্তার (১৫) ওই গ্রামের ভ্যানচালক সেলিম মিয়ার স্ত্রী এবং নাউতারা ইউনিয়নের নিজ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বেলালের একমাত্র মেয়ে। মাত্র এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৪টার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মিম তাঁর মাকে ফোন করে বলেন, “মা, আমি আর বাঁচতে চাই না। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি আর ননদের নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না। যৌতুকের জন্য প্রতিদিন নির্যাতন করে।” এই কথা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
পরে সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিমের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং শনিবার (১৭ মে) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মিমের স্বামীর পরিবারের দাবি—তিনি সবার অজান্তে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মিমের বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। একই দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীর অনেকে, যারা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা নয় বরং হত্যাকাণ্ড বলেই সন্দেহ করছেন।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফজলে এলাহী জানান, “মিম আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। থানায় একটি ইউডি (অস্বাভাবিক মৃত্যু) মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”