সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর জেলা
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, মোজো অর্থাৎ মোবাইল সাংবাদিকতা গণমাধ্যমের গতিপথ আমূল পরিবর্তন করেছে। সংবাদ পরিবেশনকে করেছে সহজ, সুলভ ও সময়োপযোগী।
বুধবার (১৪ মে) সকালে মোজো সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সময় এখন তড়িৎ খবরের। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সংবাদ পৌঁছে দেওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মোজো সাংবাদিকতা একটি যুগান্তকারী রূপান্তর।” স্মার্টফোন ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ, ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজ এখন এক হাতে করা সম্ভব হচ্ছে।
🔹 কর্মশালায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ বক্তব্য রাখেন।
🔹 ভয়েস অব আমেরিকার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অমৃত মলঙ্গী প্রশিক্ষণ দেন ভিডিও, সম্পাদনা ও কনটেন্ট নির্মাণে।
মোজো সাংবাদিকতা কেন জনপ্রিয়?
- স্মার্টফোনই এখন সাংবাদিকের অফিস
- যে কোনো জায়গা থেকে খবর পরিবেশন
- ভিডিও ধারণ, ভয়েস ও সম্পাদনা—সব একহাতে
- সৃজনশীল উপস্থাপনার সুযোগ
- সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে তাৎক্ষণিক সংযুক্তি
কাদের গনি বলেন, “মোজো সাংবাদিককে জানতে হবে ভিডিও কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি, কনটেন্ট ডিজাইন ও উপস্থাপনার কৌশল। তার হতে হবে প্রযুক্তি ও আন্তঃযোগাযোগে দক্ষ।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব আজ সত্যিই হাতের মুঠোয় বন্দি হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের কল্যাণে খবর পৌঁছে যাচ্ছে মুহূর্তেই। মোজো সাংবাদিকদের জন্য এটি এক বিশাল সুযোগ।”
জাতীয় কবি নজরুলের কবিতার কথা টেনে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি, আপন হাতের মুঠোয় পুরে’—এই পঙক্তির বাস্তব রূপই আজকের মোজো সাংবাদিকতা।