দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি
সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় বেড়ে চলা সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে সময় সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ও সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সম্প্রতি মাগুরার শিশু আছিয়ার ওপর সংঘটিত নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত বিচার দাবি করেন বক্তারা। তাদের ভাষ্যমতে, “ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে, নাহলে জনগণ রাস্তায় নেমে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে সড়কে অবস্থান নেন এবং এক ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ জানান। কর্মসূচিতে নারী, শিশু, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। উপস্থিত জনতা একসঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী স্লোগান দেন এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের আহ্বান জানান।
বক্তব্য রাখেন,এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা,ডা. কামরুল ইসলাম,নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আবু রায়হান,শহীদ ওমর ফারুক ব্লাড ডোনার সোসাইটির সভাপতি কামরুজ্জামান রাজু,কলেজ ছাত্রদল কর্মী রুবেল হোসাইন,ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জহির রায়হান,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি রেদুয়ান আহাম্মেদ,
কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন সময় সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক শফিউল আলম স্বপন।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ধর্ষণ এখন জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো নারী কিংবা শিশু এ ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হলে কেবল আইন প্রণয়ন যথেষ্ট নয়, কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, শিশু আছিয়াসহ অন্যান্য নির্যাতিতার ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা চলবে না। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।”
মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, “যদি দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হয়, তাহলে সারাদেশে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
বক্তারা সবাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।