পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছার চাঁদখালীতে লবণ পানি উত্তোলন ও বন্ধের দাবিতে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এলাকার মানুষ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তোলন এবং বন্ধের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। গত দুদিনে দু’পক্ষই পৃথক পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। আলোচিত এ বিষয় নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘাত সংঘর্ষের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এলাকার মানুষের একাংশের অভিযোগ উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের খননকৃত কপোতাক্ষের বাঁধ কেটে এলাকার একটি পক্ষ বিষ্ণুপুর স্লুইচ গেট দিয়ে লবণ পানি উত্তোলন করে চিংড়ি চাষ করবে।
এর প্রতিবাদে এলাকার নারী পুরুষদের একাংশ বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদখালী সড়কের বিষ্ণুপুর স্লুইচ গেট এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এলাকার দেড় শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নিয়ে লবণ পানি উত্তোলন করার বিরুদ্ধে এবং লবণ পানি উত্তোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ইউনুস মোল্লাকে জড়িয়ে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতীবাদ জানান। তাদের দাবি অত্র এলাকার বিল বিগত ৪ বছর লবণ পানি মুক্ত রয়েছে। মিষ্টি পানিতে ধান এবং মাছের উৎপাদন ভালো হচ্ছে এবং লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ হলে বেশির ভাগ মানুষ উপকৃত হবে এবং এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মোল্লার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাওলানা হাফিজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য জিএম আমিন উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, হাফেজ আব্দুর রহিম, রোমেনা পারভীন রেখা, আব্দুল কাদের, সোহেল, সাত্তার গাইন, জিল্লুর রহমান, পারুল বেগম, ফজিলা বেগম, শেফালী বেগম, রাণীমা আক্তার, তিশা খাতুন, লিলিমা বেগম, ফিরোজা বেগম, সুরাইয়া, তাসলিমা, রুহুল আমিন গাইন, আমজেদ গাজী ও ঝর্ণা বেগম।
অপরদিকে বেশির ভাগ জমির মালিকরা লবণ পানি উত্তোলনের পক্ষে রয়েছে এবং যারা বিপক্ষে রয়েছে তাদের তেমন কোন জায়গা জমি নাই এমন দাবি করে বুধবার একই স্থানে এলাকার একাংশ নারী পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে লবণ পানি উত্তোলনের জোরালো দাবি জানান। তাদের দাবি অনুযায়ী লবণ পানি উত্তোলন হলে প্রকৃত জমির মালিকরা বেশি উপকৃত হবে। লবণ পানি উত্তোলন এবং বন্ধ করা নিয়ে এলাকার দুটি পক্ষ বিভক্ত হয়ে এমন কঠোর কর্মসূচি পালন করা নিয়ে এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শাহরিয়ার কবির