সত্যজিৎ দাস ( মৌলভীবাজার প্রতিনিধি) :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত এক বছরে ২২২টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে,যার মধ্যে ১০৪টি প্রাণী মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বন বিভাগ জানায়,খাদ্য ও পানির সংকট,জলবায়ু পরিবর্তন,আবাসস্থল ধ্বংসসহ বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে বন্যপ্রাণীরা বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে**।
২০২৪ সালে বন বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কার্যালয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার করে, যার মধ্যে বানর, মেছো বিড়াল,চিতা বিড়াল, বনবিড়াল, বিভিন্ন ধরনের প্যাঁচা, মদনটাক, মুনিয়া পাখি, শকুন, তক্ষক, গন্ধগোকুল, অজগর, শঙ্খিনী সাপ,‘রেড আইক্যাট’ সাপ এবং ধূসর ফণীমনসা রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া সুস্থ প্রাণীগুলোকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হয়,তবে মৃত প্রাণীগুলোকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,”লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সড়কে অতিরিক্ত গতির যানবাহন, হর্ন ও মাইকের ব্যবহার বন্যপ্রাণীর জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হরিণ ও বানর প্রায়ই গাড়ির আঘাতে মারা যাচ্ছে”।
এছাড়া,বন উজাড়,অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে লাগানো রঙিন সাইনবোর্ড এবং বন আইন উপেক্ষার কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং একসময় সতর্ক করেছিলেন,‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা না করতে পারলে পৃথিবী মানব বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।’
এ প্রসঙ্গে বন সংরক্ষকরা বলছেন,বন্যপ্রাণী রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বন বিভাগের পাশাপাশি,জনসচেতনতা ও সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।