পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুনঃনির্মাণের দাবিতে শত শত স্থানীয় জনসাধারণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার হাসপাতাল সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি ২০০৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নানা অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে এখনও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে দেড় লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্পে মূল ভবন ও দুটি আবাসিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘নূরিয়া এন্টারপ্রাইজ’ মাত্র ২০% কাজ করে বিল নিয়ে চলে যায়। ২০১৪ সালের ২৫ জুন ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
এরপর ২০২২ সালে ‘কহিনুর এন্টারপ্রাইজ’ নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৫ কোটি ১১ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায়, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করে তারাও পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে।
বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা চলছে জরাজীর্ণ টিনসেড ভবনে, যার বেশিরভাগ অংশ সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবারের মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির আহ্বায়ক এস.এম. আহসান কবীর, জেলা জামায়াতের সহ-সভাপতি মাওলানা ছিদ্দিকুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাওলানা আলী হোসেন, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান নিক্সন, বদরুদ্দোজা মিয়া, যুবনেতা আসাদুজ্জামান মামুন, নারী নেত্রী সুনন্দা সমদ্দার, সাংবাদিক নেতা রতন কুমার দাস, রফিকুল ইসলাম রফিক, তারিকুল ইসলাম পান্নু, এনামুল হক, সুলতানা নীলা, মাওলানা শিহাব উদ্দিন কাসেমীসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, “আগামী ৩০ জুনের মধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণ কার্যক্রম শুরু না হলে আমরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”