সদরপুর উপজেলা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
বাজেট না থাকায় এখনো লাগানো হয়নি দরজা-জানালা। খোলা বাতাস, রোদ-বৃষ্টি আর ঝড়ো আবহাওয়ার মাঝেই জানালা দরজাবিহীন ক্লাশ রুমে চলছে পাঠদান।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমীতে জানালা দরজাবিহীন পাকা টিনশেড ঘরে এভাবেই ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদান চলছে।
১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ আমলের
বিদ্যালয়টির পুরাতন টিনশেড তিনটি ঘরের টিন নস্ট হয়ে যাওয়ায় গত একবছর আগে শিক্ষা প্রকৌশলীর সার্বিক তত্বাবধানে পুরাতন টিনের ঘরের টিন পরিবর্তন ও চারপাশে সেমি পাকা করে সংস্কার করা হয়। সংস্কারের একবছর পেরিয়ে গেলেও ওই টিনের ঘরের আজও দরজা-জানালার কোন ব্যবস্থা হয়নি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে ক্লাস নিতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে।
দশম শ্রেনীর ছাত্রী মেহেনিকা চৌধুরী বলেন,রোদ বৃস্টি ও দুর্যোগ পুর্ন আবহাওয়ার সময় ক্লাশ করতে আমাদের খুব কস্ট হয়, এভাবে একবছর যাবৎ জানালা দরজাবিহীন ক্লাশ রুমেই আমাদের পাঠদান চলছে।দশম শ্রেনীর আরেক ছাত্রী নুরে জান্নাত বলেন, জানালা দরজাবিহীন ক্লাশ রুমে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ঝুকি রয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের ক্লাশরুমে জানালা দরজার ব্যাবস্থা করা উচিত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বারেক মিয়া বলেন, “আমরা অনেকবার দরজা-জানালার জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু এখনো কোনো বাজেট পাইনি। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অনেক সমস্যা হচ্ছে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা হুমকিতে আছে।”
বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষার্থী। অথচ এমন পরিবেশে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। দ্রুত বাজেট বরাদ্দের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।”
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ফকির এনামুল হাসান বলেন, ১৯ লক্ষ টাকা বাজেটের কাজে কোন জানালা দরজা নির্মানের জন্য কোন বরাদ্দ ছিল না, তাই স্কুল কর্তপক্ষ জানালা দরজা ছাড়াই কাজের সমাপ্তির প্রত্যায়ন পত্র শিক্ষা প্রকৌশলীর সংশিলস্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন জানালা দরজা ছাড়া পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে৷ সরকারের সংশ্লিস্ট দপ্তরের উচিত দ্রুত বরাদ্দ দিয়ে জানালা দরজা নির্মান করে পাঠদানের সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা৷
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, আগের বাজেটে জানালা দরজা বরাদ্দ ছিলনা, তাই জানালা দরজা ছাড়াই কাজটি সমাপ্ত করা হয়েছে। আগামীতে বরাদ্দ আসলেই জানালা দরজার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অভিভাবক ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত দরজা-জানালার কাজ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও মানসম্মত পাঠদান পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।
প্রতিবেদনে
মোঃ শেখ ছোবাহান