রিপন মারমা, রাঙামাটি:
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের আমতলী-আগাপাড়া সড়কে অবস্থিত একটি কালভার্ট ধসে গিয়ে পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। কালভার্টটির আশপাশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত; ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত মোটরসাইকেল, চাঁদের গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। চালকরা জানান, গর্তে পড়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে বা সন্ধ্যার পর চলাচল হয়ে ওঠে মরণ ঝুঁকিপূর্ণ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চিৎমরম বাজার থেকে চাকুয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য গর্ত ও ধসে পড়া ইটের অংশ, যা যানচলাচলের উপযোগিতা নষ্ট করে দিয়েছে। আমতলী থেকে আগাপাড়ার মধ্যবর্তীস্থানে কালভার্টটির নিচের অংশ দেবে গেছে এবং তার আশপাশের রাস্তা বৃষ্টির পানিতে সলিং উঠে গিয়ে চরম নাজুক অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ছংড়াছড়ি ছড়ার উপর নির্মিত হয়েছিল এই কালভার্ট। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে তা বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য:
স্থানীয় বাসিন্দা থোয়াইচিং মারমা বলেন, “কালভার্ট ও রাস্তার কারণে প্রতিদিন চরম কষ্টে যাতায়াত করতে হয়।”
অংহ্লাথুই মারমা জানান, “চারটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ এই সড়কে নির্ভরশীল। আমরা কৃষিপণ্য এই রাস্তা দিয়েই বাজারজাত করি। এমন অবস্থায় আমাদের কৃষি উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
স্থানীয় কারবারি অংসাথুই মারমা বলেন, “কলাগাছ, আম, সবজি—সব কিছু এই রাস্তায় করে বাজারে নিতে হয়। কিন্তু রাস্তাটির অবস্থার কারণে সময়মতো বাজারে পৌঁছানো যায় না। এতে আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।”
চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী বলেন, “সড়ক ও কালভার্টের অবস্থা সত্যিই করুণ। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে এই কাজ বাস্তবায়নের বাজেট নেই। তাই আমি রাঙামাটি জেলা পরিষদকে নতুন করে কালভার্ট ও রাস্তা নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছি।”