দেওয়ান মাসুকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে:
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, “যত্রতত্র পার্কিং এবং সড়ক আইন অমান্য করায় যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে সময় এবং কর্মঘণ্টার অপচয় হয়।” তিনি যানজটমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে পরিবহন শ্রমিকসহ সকল পেশাজীবীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বুধবার (২৮ মে) শ্রীমঙ্গল থানার প্রাঙ্গণে শ্রীমঙ্গল ট্রাফিক জোনের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলাটি বাণিজ্য ও পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হওয়ায় এখানে তীব্র যানজটের কারণে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “শ্রীমঙ্গলের পর্যটন খ্যাতি দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছে। তাই আগত পর্যটকরা যেন যানজটের কারণে ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। পথচারী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সড়ক আইন মেনে চলার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো হবে। এছাড়া ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যেন সড়কে স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি না হয়।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল ট্রাফিক জোনের টিআই নীহার রঞ্জন সিংহ, টিআই হাসান আল মামুন, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আব্দুল হাই ডন, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সৈয়দ আমিরুজ্জামানের মতামত ও সুপারিশ:
ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও সাপ্তাহিক ‘নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “পুলিশ সুপারের বক্তব্য যথার্থ হলেও যানজটের পেছনে সড়কে অব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় কারণ। যানজট নিরসনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারিক গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ চালু করা, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্ধারণ, বিআরটিএ’র কার্যক্রম শক্তিশালী করা এবং ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে ডিভাইডার নির্মাণ, সার্ভিস রোড তৈরি, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার, গণপরিবহন উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে যানজট কমানো সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইন ও শৃঙ্খলা মানার সংস্কৃতি গড়ে তোলা দরকার। প্রশাসন, পুলিশ, বিআরটিএ, পৌরসভা, মালিক-চালক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। যানজট নিরসনে একটি সমন্বিত সেল গঠন করে নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”