সাজেদুল ইসলাম, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-চরগাবসারা আঞ্চলিক মহাসড়কে ১২ কোটিরও বেশি টাকার বরাদ্দে চলমান সংস্কারকাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের অভিযোগ উঠেছে। এতে এই সড়কে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিদিনই বিকল হচ্ছে যানবাহন, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির সংস্কার কাজ ডাবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে। তবে কাজের গতি ধীর এবং কার্পেটিংয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী ও পরিবহনচালকরা।
বাস্তব চিত্র:
সরেজমিনে কুচুটি এলাকায় দেখা যায়, আগের কার্পেটিংয়ের ওপর পুনরায় ছোট পাথর ছিটিয়ে নতুন কার্পেটিং করা হচ্ছে। এতে পাথরগুলো সহজেই গাড়ির চাপে উঠে আসছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দাবি করেছেন, “৩৫ শতাংশ পাথর উঠবে, পরে সেগুলো সড়কে বসে যাবে।”
তবে সিএনজি চালক জাহিদ বলেন, “সপ্তাহে ৩ বার চাকা পাল্টাতে হচ্ছে। রোদের মধ্যে গাড়ি মেরামত করে চালানো দুঃসহ হয়ে উঠেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকদের অভিযোগ, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ না মেরামত করে পুরো ভালো রাস্তা পাথর দিয়ে ঢেকে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে, যাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের অবস্থান:
সাব-ঠিকাদার ফারুক হোসেন বলেন, “কাজ সওজের নির্দেশনা অনুযায়ী হচ্ছে। বিটুমিনের এই কাজ এমনভাবেই করতে হয়।”
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যসহকারী রুবেল হোসেন বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে, সেভাবেই কাজ হচ্ছে।”
টাঙ্গাইল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরি খান বলেন, “বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় ডাবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। এতে যানবাহনগুলো সড়কে অতিরিক্ত বেগে চলাচল করতে পারবে না, যা দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক হবে।”
জনদুর্ভোগে উদ্বেগ:
ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়ক ব্যবহারকারীদের দাবি, কাজের গতি বাড়িয়ে এবং মান নিশ্চিত করে দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন না হলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে পুরো সড়কটি। এতে অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।