মেছবাহুল আলম,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে লুৎফর রহমান (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ জুলাই) সকালে তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কচাকাটা থানার দক্ষিণ সরকারটারী গ্রামে জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল করিম ও আমির হোসেনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। আহতদের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং গুরুতর ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের মধ্যে হামলার চেষ্টা
এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের জহুর আলীর ছেলে লুৎফর রহমান হাসপাতালে গিয়ে এক পক্ষের চিকিৎসাধীন রোগীর ওপর ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্দেহজনকভাবে হাসপাতালের ভেতরে অস্ত্রসহ ঘোরাফেরার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করে।
চিকিৎসক ও পুলিশের বক্তব্য
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন,
“এক যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঘোরাফেরা করছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিই এবং তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করি।”
ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন,
“গ্রেপ্তারকৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
লুৎফরের দাবি
এদিকে, গ্রেপ্তার লুৎফর রহমান দাবি করেছেন, তিনি হাসপাতালে তার পক্ষের আহত স্বজনদের দেখতে গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।