মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির নলছিটিতে যুবদল ও ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে আসামিরা জামিনে বের হয়ে ফের আহতদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারাীরা আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরে তাঁরা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন উপজেলার সিদ্ধকঠি ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামাল খান।
লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি সিকদারকে পিটিয়ে আহত করে সুমন সরদার, হুমায়ুন সরদার, রাসেল হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, সুলতান সরদার, আদু গাজী, ইমন হাওলাদার ও মনিরসহ কয়েকজন ব্যক্তি। গত ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল এরা। বর্তমানে বিএনপির পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। রনিকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
নলছিটি থানার সহকারী-উপরিদর্শক (এএসআই) কাওছার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় হামলাকারীরা। ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক এখলাস হোসেন মুন্না, দপদপিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাসেল মাঝি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ সোহাগসহ ৫-৬ জনকে সুমন সরদার, হুমায়ুন সরদার, রাসেল হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, সুসলতান সরদার, আদু গাজী, ইমন হাওলাদার ও মনিরসহ কয়েকজন ব্যক্তি কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় এখলাস হোসেন মুন্না, রাসেল মাঝি ও সোহাগকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে নলছিটি ও ঝালকাঠির কয়েকজন বিএনপি নেতার সহযোগিতায় আসামিরা জামিনে বের হয়ে আহতদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা দেলোয়ার হোসেন, দুলাল গাজী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার, সদস্যসচিব মো. রিয়াজ, ছাত্রদলনেতা মো.তুহিন ও তানসেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুমন সরদার বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আমরা জামিনে মুক্ত আছি। কাউকে কোন ধরনের হুমকি দেওয়া হয়নি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় নলছিটি থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা জামিনে বের হয়ে হুমকি দেওয়ার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।