ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনকাল ৬ মাস অতিবাহিত হলেও সরকার নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। যেসকল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গঠন করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, সরকার দীর্ঘ ৬ মাসেও তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাজার সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের এক একজনের বক্তব্য এক এক রকম, অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রকাশ্যে দিবালকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন এখন নিত্যনৈমত্যিক ঘটনা। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও সমন্বয়হীনতা, শ্লথগতি ও দুরদর্শিতার অভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তিনি অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
নতুন দল গঠন করায় তরুণ যুবকদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪’র ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররাই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য বহু দল ও মতের প্রয়োজন। তরুণ-যুবকেরাই আগামী দিনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার বিকেলে রামপুরা-বাড্ডা-ভাটারা এলাকার জনগণের ৬ দফা দাবিতে বনশ্রী ডি-ব্লক মেইন রোড থেকে একটি গণমিছিল শেষে আফতাব নগর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরিউক্ত কথা বলেন। তিনি রামপুরা-বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় এধরণের গণমিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করার জন্য ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ সহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদের ৬ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক মোঃ আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পরিষদের নেতা অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের অন্যতম নেতা মোঃ আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, জামিল আহমেদ ও নারী নেত্রী সোনিয়া আক্তার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, রামপুরা-বাড্ডা-ভাটারা এলাকার উন্নয়নে এই ৬ দফা দাবি পেশ করা হলো। আপনাদের সাথে নিয়ে এই ৬ দফা আদায়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, এই ৬ দফা দাবি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এবং দাবি আদায়ে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে।
ধন্যবাদান্তে-
মোহাম্মদ ইছমাইল
যুগ্ম আহ্বায়ক