মোঃ হামিদুর রহমান লিমন,ক্রাইম রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামে পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি পালিয়েছে। পালাতক ওই আসামির নাম শাহনেওয়াজ আবির রাজু (৩০)। তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১০টায় জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনারচর চরেরগ্রাম এলাকায় হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় আসামি রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া (৪৮) ও তার খালাতো বোন রুনা আক্তার (২৩) কে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, আটক দুই জনকে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া শাহনেওয়াজ আবির রাজু (৩০) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী গ্রামের আলী আজগরের ছেলে। রাজুর বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে।এদিকে হামলার ঘটনায় আহত রৌমারী থানার এসআই আউয়াল হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া শাহনেওয়াজ আবির রাজু (৩০) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী গ্রামের আলী আজগরের ছেলে।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাজুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গ্রামবাসীর তোপের মুখে রাজু পরিবারসহ ধনারচর চরেরগ্রামে তার খালার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিবার রাজুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রাজুকে গ্রেপ্তার করতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান যান। সেখানে ইয়াবাসহ রাজুকে আটক করে হাতকড়া পড়ায় পুলিশ। এ সময় রাজু ও তার মা এবং খালাতো বোন পুলিশের ওপর হামলা করে। এসআই আউয়ালের হাতে কামড় ও তার বিশেষ অঙ্গে আঘাতে পর হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় রাজু।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আউয়ালকে উদ্ধারের পাশাপাশি রাজুর মা ও খালাতো বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক নবিউল ইসলাম বলেন, আহত একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি কর্মস্থলের বাইরে আছি। বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে পুলিশ সদস্যকে কামড় দিয়ে আহতের খবর শুনেছি।’
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, হাতকড়াসহ পালাতক রাজুকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে ।