রুবেল হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ:
চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দুপুরের দিকে শহরের রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। প্রখর রোদের তাপে সাধারণ মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর ও নির্মাণশ্রমিকেরা।
বর্তমানে চলছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। এই গরমে মাঠে কাজ করা কৃষক-কৃষাণী ও শ্রমিকরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। অনেকেই হিটস্ট্রোক, ঘামাচিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা করছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। তাই বাইরে অপ্রয়োজনে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের অবজারভার আমিনুল হক জানান, “জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজকের ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতি অন্তত ১৩ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, “দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও কোথাও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।”